ক্লাউড কম্পিউটিং কি?
সহজ কথায় বলতে গেলে ক্লাউড কম্পিউটিং হল নিজের প্রয়োজনে আরেকজনের কম্পিউটারের রিসোর্স গুলো শেয়ার করা যেমন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সার্ভিস গুলো একই বা বিভিন্ন ওয়ার্ক এর মাধ্যমে উপভোগ করা কে ক্লাউড কম্পিউটিং বলা হয়
সহজ কথায় বলতে গেলে নিজের জিনিসপাতি আরেকজনের Storage এ Store করার নামই ক্লউড কম্পিউটিং…ঠিকাচ্ছে ভায়া ?
ক্লাউড কম্পিউটিং মূলত ৪ ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ
- Public cloud: Public cloud হল এমন এক ধরনের ক্লাউড সার্ভিস যা সাধারন জনগন ব্যবহার করতে পারবে অন্য কেও এক্সেস নিতে পারবে না।
- Private cloud: Private cloud হল যেটা শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জনগন ব্যবহার করতে পারবে।
- Hybrid cloud: এটা পাবলিক এবং প্রাইভেট দুইটার সংমিশ্রণে তৈরি।
- Community cloud: এটা একাধিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে।
ক্লাউড কমপিউটিং এর বাব্সায়িক অনেক সম্বাবনা আছে। মার্কেট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ফার্ম ৪২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।নিচে কয়েকটি ক্লাউড কম্পিউটিং প্লাটফর্মের নাম দেখে নেই-
১.Amazon.com
2.Microsoft
3.Google
4.IBM
5.Yahoo.com
জনপ্রিয় কিছু ক্লাউড কম্পিউটিং অ্যাপ্লিকেশনঃ
- Dropbox: যে কোনো ফরমেট এর ফাইল স্টোর,শেয়ারিং অথবা পাঠানোর জন্য বর্তমানে খুবই জন প্রিয় সাইট Dropbox.
- Flickr:yahoo মালিকাদিন জনপ্রিয় ছবি শেয়ারিং সাইট Flickr যেখানে ১ টিবি পর্যন্ত ছবি ভিডিও রাখা যায়।
- One Drive: মাইক্রোসফট এর সার্ভিস। আগে এটি স্কাইড্রাইভ নামে পরিচিত ছিল। দরকারি একটি সার্ভিস। ভার্চুয়াল হার্ডডিস্কও বলা যেতে পারে। এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের ফাইল রাখা এবং তা পিসি থেকে কন্ট্রোল বা অন্যের সাথে খুব সহজে শেয়ার করা যায়।
- Google Apps: গুগল অ্যাপস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশন। ডকুমেন্ট তরি করা, স্প্রেডশিড তৈরি, স্লাইড শো তৈরি, ক্যালেন্ডার মেইনটেন্স, পার্সোনাল ইমেইল ইত্যাদি সার্ভিস দিয়ে থাকে।
- Ever note: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নোট সমূহ খুব সহজে কন্ট্রোল করা, ব্যবহার করা, যেকোনো স্থানে যেই নোট সমূহ ব্যবহার করাতে Ever note খুবই উপকারি।
এরও কম আরো হাজার হাজার জনপ্রিয় সাইট আছে যেখানে ক্লাউড সার্ভিস করা হয়
ক্লাউড কম্পিউটারের ভবিষৎ :
ক্লাউড কম্পিউটিং যদিও এখনও ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে আছে তার সুফল ভবিষতে আমরা আরো ভালো পাব। ভবিষতে সব কিছু ক্লাউড ভিত্তিক হবে এবং তার একটা অংশ বর্তমানে ব্যবহার করছি। তবে একটু খেয়াল করলে বুজতে পারবেন যে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে মাথায় যদি কোনো আইডিয়া থাকে তা কোনো না কোনো ভাবে এখনই ক্লাউড ব্যবহার করা যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা:
- কম খরচ: যেহেতু এতে আলাদা কোনো সফটওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না বা কোনো হার্ডওয়্যার এর প্রয়োজন হয় না। তা স্বাভাবিকভাবে খরচ কম হবেই।
- সম্পুর্ণ নিরাপদ: ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ নিরাপদ কারণ এতে তথ্য হারানোর বা নষ্ট হবার কোনো সম্ভবনা থাকে না। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার হারিয়ে যাওয়া বা হার্ডডিক্স নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ মুক্ত।
- সহজে ব্যবহার : ক্লাউড কম্পিউটিং ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ গুলো যেকোনো স্থানে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায় তাই এটা সহজে ব্যবহারযোগ্য।
- অটো সফটওয়্যার আপডেট: ক্লাউড কম্পিউটিং এর সফটওয়্যারগুলো আপডেট করা প্রয়োজন নেই। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে থাকে। তাই আলাদাভাবে এটা রক্ষণাবেক্ষণের খরচ লাগে না।
- যতটুকু ব্যবহার ততটুকু খরচ: ক্লাউড কম্পিউটিং এ যতটুকু ব্যবহার করা হবে শুধু ততটুকুর জন্য খরচ লাগে না।
- ডকুমেন্ট কন্ট্রােল : কোনো অফিসে যদি ক্লাউড কম্পিউটিং না ব্যবহার কর তবে সেই অফিসের ডকুমেন্টসমূহ কন্ট্রোল করা যায় করতে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেবার জন্য আলাদা লোকের প্রয়োজন হবে কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং এ সেই ধরনের কোনো সমস্যা নেই। কোনো লোকবল ছাড়াই সকল ডকুমেন্ট কন্ট্রোল করা যায়।
Cloud ব্যবহারের অসুবিধা:
এটা তেমন কিছু না কেননা সব সার্ভিস এর কিছু না কিছু সুবিধা অসুবিধা আছে ক্লাউড এর কিছু অসুবিধা হচ্ছে
- আপনার তথ্য যদি ক্লাউডে রাখেন, তাহলে সেই তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে। আপনে যে আপনার মহামল্যবান তথ্য আরেক জনের হাতে তুলে দিচ্ছেন সে যে আপনার তথ্য নিয়ে গবেষণা করবে না তার কি গারান্টি আছে?
- তথ্য করাপ্টেড হয়ে যেয়ে পারে নিমিষে
- পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নাও থাকতে পারে
- তথ্য ফাঁস হবার সম্ভাবনা।
বর্তমানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তাদের Software গুলোর ক্লাউড র্ভাসন তৈরি করছে।
তাহলে আসা করি ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে আপনাদের মুটা মুটি ধারণা হয়েছে,তাহলে আজ এত টুকুই। আল্লাহ হাফেজ
Nicely composed and nice understand level......!
ReplyDelete